বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অস্বাভাবিক জোয়ার ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, কীর্তনখোলা, তেঁতুলিয়া, মেঘনা, সুগন্ধাসহ বেশিরভাগ নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল শহরের পলাশপুর, মোহাম্মদপুর, রসুলপুর, কাউনিয়া, ধান গবেষণা রোডসহ নদীতীরবর্তী এলাকাগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, চরকাউয়া, টুঙ্গিবাড়িয়াসহ জেলার অন্যান্য নিম্নাঞ্চলও জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে।
বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর বহু গ্রাম পানির নিচে। ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিষখালী নদীর পানি বৃদ্ধিতে রাজাপুর, নলছিটি ও কাঁঠালিয়ার গ্রামে ৭ মিটার পর্যন্ত পানি জমেছে। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ৬-৭ ফুট উচ্চতার জোয়ারে মেঘনা নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় পানির উচ্চতা ৩-৫ ফুট বেড়ে যাওয়ায় চরঈশ্বর, চরকিং ও নিঝুমদ্বীপ প্লাবিত হয়েছে।
কুয়াকাটায় উত্তাল সাগরে ভেসে যাওয়া এক পর্যটককে স্থানীয় জেলেরা জীবিত উদ্ধার করেছেন। টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের আড়াই কিলোমিটার এলাকা জোয়ারের ধাক্কায় ভেঙে পড়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় ২৪.০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং নিম্নচাপ স্থায়ী থাকলে এক থেকে তিন ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে। পায়রা ও বরিশাল নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জনপদে বিশুদ্ধ পানির সংকট ও পানিবাহিত রোগবালাইয়ের আতঙ্কে দিন পার করছেন মানুষ।