Ridge Bangla

আবারো হিলারির ইমেইল কেলেঙ্কারি আলোচনায়, যা বললেন তুলসী গ্যাবার্ড

ডেমোক্রেটিক রাজনীতিক ও সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি আবারও আলোচনায় এসেছে। সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওবামা প্রশাসনে দায়িত্ব পালনকালে হিলারির ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার এবং অতি গোপন নথিপত্র ব্যবহারের বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত করেনি এফবিআই।

২০১৮ সালের জুনে মার্কিন বিচার বিভাগের ইনস্পেক্টর জেনারেলের যে রিপোর্ট গোপন রাখা হয়েছিল, সেটি সম্প্রতি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে, এফবিআই এক গোপন সূত্র থেকে কিছু থাম্ব ড্রাইভ সংগ্রহ করে যাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সংবেদনশীল তথ্য এবং এমনকি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ইমেইলও ছিল। কিন্তু এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যথাযথভাবে আমলে নেয়নি এফবিআই।

এই প্রতিবেদন সামনে আসার পরই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড অভিযোগ করেন, ওবামা প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাম্প–রাশিয়া সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালিয়েছিল। এ অভিযোগের পর রিপাবলিকানদের মধ্যে এফবিআই এবং ওবামা প্রশাসনের উদ্দেশ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন ওঠে।

মার্কিন সিনেটর চাক গ্রাসলির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, এফবিআই পরিচালক জেমস কোমি, উপপরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাককেব ও এজেন্ট পিটার স্ট্রজোক গোপন তথ্য থাকা সত্ত্বেও হিলারির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোনো তদন্ত করেননি। গ্রাসলি বলেন, “এটা স্পষ্ট যে এফবিআই যথাযথ পরিশ্রম করেনি এবং তদন্তে গাফিলতি ছিল।”

হিলারি ক্লিনটন ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করেন এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে ইমেইল আদান-প্রদান করেন। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় বিষয়টি বড় বিতর্কে রূপ নেয়।

হিলারি অবশ্য স্বীকার করেন যে তিনি ব্যক্তিগত সার্ভার ব্যবহার করেছেন, তবে কোনো অপরাধ করেননি বলে দাবি করেন। যদিও আদালতের নির্দেশে তার ১৪,৯০০টি ইমেইল খতিয়ে দেখা হয়, এবং পরে এফবিআই জানায়, তার বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তবে নতুন রিপোর্ট প্রকাশের পর হিলারির ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে।

আরো পড়ুন