স্কটল্যান্ডের অর্কনি দ্বীপপুঞ্জের স্যান্ডেতে প্রত্নতাত্ত্বিকরা ২৫০ বছর পুরোনো একটি ব্রিটিশ জাহাজডুবির ধ্বংসাবশেষ শনাক্ত করেছেন। প্রমাণ অনুযায়ী এটি ব্রিটিশ রয়্যাল নেভির যুদ্ধজাহাজ এইচএমএস হাইন্ড, যা পরে তিমি শিকারি জাহাজ ‘আর্ল অব চাথাম’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
জাহাজটি ছিল ষষ্ঠ শ্রেণির ২৪-গান ফ্রিগেট এবং ১৭৫০-এর দশকে লুইসবুর্গ ও কুইবেক অভিযানে অংশ নেয়। আমেরিকান স্বাধীনতা যুদ্ধকালেও এটি সক্রিয় ছিল। শক্ত কাঠামোর কারণে পরবর্তীতে এটি বরফাচ্ছন্ন অঞ্চলে তিমি শিকারের উপযোগী জাহাজে রূপান্তরিত হয়।
১৭৮৮ সালের মার্চে আর্কটিকে অভিযান চালানোর সময় লোপনেস উপসাগরে জাহাজটি ডুবে যায়। onboard থাকা ৫৬ নাবিকের সবাই বেঁচে যান।
গত বছর ঝড়ে সৃষ্ট সাগরতল পরিবর্তনে ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যমান হয় এবং স্থানীয়রা তা প্রথম খুঁজে পান। এরপর ওয়েসেক্স আর্কিওলজি, ডেনড্রোক্রনিকল এবং স্থানীয় গবেষকদের সহায়তায় কাঠামোগুলোর উৎস নির্ধারণ ও পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।
ডেনড্রোক্রোনোলজির (গাছের বয়স নির্ণয়) মাধ্যমে জানা যায়, জাহাজটি দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কাঠ দিয়ে তৈরি। স্যান্ডে হেরিটেজ সেন্টারে এখন কাঠামোটি সংরক্ষণের জন্য বিশেষ মিঠা পানির ট্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে, যাতে এটি ধ্বংস না হয়।
ওয়েসেক্স আর্কিওলজির সিনিয়র মেরিন আর্কিওলজিস্ট বেন সন্ডার্স বলেন, “শুধু জাহাজ নয়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৭৮০-এর দশকের স্যান্ডে কমিউনিটির জীবনযাপন সম্পর্কেও অনেক কিছু জানতে পেরেছি।”
স্যান্ডে ডেভেলপমেন্ট ট্রাস্ট-এর চেয়ারম্যান ক্লাইভ স্ট্রুভার জানান, এই জাহাজের ইতিহাস জানা ছিল এক রোমাঞ্চকর অভিযান, যার ভবিষ্যৎ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রয়েছে গভীর আগ্রহ।