সীমান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী ‘তা মোয়ান থম’ মন্দিরের আশপাশে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়।
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সিসাকেট প্রদেশের কান্থারালাক জেলার বান ফুয়ে এলাকায় একটি গ্যাস স্টেশনের কাছে হামলায় ছয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
সুরিন প্রদেশের কাপ চোয়েং জেলার বান চোরোক গ্রামে ৮ বছর বয়সী এক শিশুসহ আরও দুইজন নিহত হন এবং আরও দুজন আহত হন। উবোন রাতচাথানি প্রদেশে একজন নিহত ও একজন আহত হন এবং বুরিরাম প্রদেশেও আহত হন একজন।
এ সংঘর্ষে বহু বাড়িঘর এবং কৃষিজ গবাদিপশুরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ড সীমান্তে থাকা সব পারাপার পথ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কম্বোডিয়া সংঘর্ষ বন্ধে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতি আসিম ইফতিখার আহমেদকে লেখা চিঠিতে থাইল্যান্ডের সামরিক আগ্রাসনকে “শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি” বলে উল্লেখ করেন।
কম্বোডিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বৃহস্পতিবার সকালে থাই সেনারা বিনা উসকানিতে পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।”
বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের “বেপরোয়া ও শত্রুতাপূর্ণ” আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো হয় এবং থাই বাহিনীকে শত্রুতা বন্ধ ও উত্তেজনা না বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
আন্তর্জাতিক মহল মনে করছে, পরিস্থিতি আরও অবনতির দিকে যেতে পারে এবং দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি উত্তেজনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।