৪৮তম বিশেষ বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষায় নকল ও প্রতারণার চেষ্টায় পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন। অপর দুইজনের বিরুদ্ধে পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল ও মোবাইল ফোন রাখার অভিযোগ রয়েছে।
গত ১৮ জুলাই শুক্রবার ঢাকার দুটি পৃথক কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। রাজধানীর খিলগাঁও মডেল কলেজ ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পরীক্ষার সময় প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়েন মো. ফাহাদ মৃধা, জেসমিন আক্তার এবং এনামুল হক। তাঁরা যথাক্রমে মো. নাজমুল হাসান, তমা প্রামাণিক ও লিটন শেখ নামের মূল পরীক্ষার্থীদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
ঘটনা জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া ইডেন মহিলা কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে আফরিন জাহান নামের এক পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল ফোন পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়। একই কেন্দ্রে নুসরাত জাহান নামের আরেক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নকল উদ্ধার হলে তাকেও আটক করা হয়। আদালত তাদের দুজনকেই ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন। এ ঘটনায় লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
অন্যদিকে, আশিক ইকবাল নামের এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কাগজপত্রে নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বরের অংশে অন্য কারও নম্বর বসিয়ে প্রতারণার চেষ্টা করেন। ঘটনা উদঘাটিত হলে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয় এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে আজীবনের জন্য পিএসসি’র সব ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
পিএসসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ ধরনের প্রতারণায় জড়িত প্রক্সি পরীক্ষার্থীদের পাশাপাশি যারা তাদের বদলি হিসেবে পাঠিয়েছেন—তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের শাস্তি প্রযোজ্য হবে।