রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর ও আশপাশের এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কুখ্যাত ‘আয়েশা গ্রুপ’ প্রধান মো. আসাদ ওরফে আরশাদ ওরফে আয়েশা (৩৫) এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ইউসুফ (৪০)-কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-২।
র্যাবের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার (১৩ জুলাই) রাতে ঢাকার অদূরে সাভারের ভাকুর্তা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি ধারালো দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানায়, আয়েশা এক সময় মোহাম্মদপুরের কুখ্যাত ‘কবজিকাটা’ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং সন্ত্রাসী কবজিকাটা আনোয়ারের ডানহাত হিসেবে কাজ করতেন। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ডাকাতি ও হত্যাচেষ্টাসহ মোট সাতটি মামলা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আয়েশা ও তার সহযোগীরা মোহাম্মদপুর, আদাবর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। দিনের বেলায় নির্জন রাস্তায় পথচারীদের ছিনতাই এবং রাতের বেলায় বাসা বা চলন্ত যানবাহনে হামলা চালিয়ে লুটপাট করত তারা।
সম্প্রতি আদাবরে মাদক কারবার নিয়ে বিরোধের জেরে আয়েশা এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেন। সেই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় ৩০ জুন আদাবর থানায় আয়েশার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়। এরপর থেকেই তাকে নজরদারিতে রাখে র্যাব।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আয়েশা জানিয়েছেন, একসময় তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। পরে কবজিকাটা আনোয়ারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপরাধ জগতে নাম লেখান এবং নিজেই একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতেও এমন অপরাধী চক্র দমনে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সংস্থাটি।