সুনামগঞ্জ ও ঠাকুরগাঁও সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর গুলিতে এক রাতেই দুই বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (১১ জুলাই) গভীর রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার বাগানবাড়ি সীমান্তে এবং শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে এই দুটি ঘটনা ঘটে।
সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাকারিয়া কাদির জানান, শুক্রবার রাতে দোয়ারা বাজার উপজেলার বাগানবাড়ি সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে গরু আনতে প্রবেশ করেছিলেন শফিকুল ইসলাম (৪৫)। তিনি জেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সীমান্ত অতিক্রমের পর বিএসএফ সদস্যরা গুলি চালালে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনে দোয়ারা বাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দোয়ারা বাজার থানার ওসি জাহিদুল হক জানান, নিহতের বুকে গুলি লেগেছিল। মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বিজিবি জানিয়েছে, এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে এবং সীমান্তে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
এদিকে দিনাজপুর-৪২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হাসান জানিয়েছেন, শনিবার ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার মিনাপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে মারা যান আসকর আলী (২৪)। তিনি জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে।
জানা গেছে, আনুমানিক ভোর চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন ব্যক্তি ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলে কিষাণগঞ্জ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আসকরের মৃত্যু হয়। তার মরদেহ ভারতের অভ্যন্তরে প্রায় ২০০ গজ ভেতরে পড়ে রয়েছে।
বিজিবি জানিয়েছে, মরদেহ ফেরত আনতে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।