মিয়ানমারের একটি সামরিক ঘাঁটিতে বিদ্রোহীদের হামলার পর শনিবার থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে দেশটির ১০০ জনেরও বেশি জান্তা সেনা ও প্রায় ৪৬৭ জন বেসামরিক লোক। থাইল্যান্ডের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, মোট ৫৬৭ জন সীমান্ত অতিক্রম করে থাই ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।
থাই সেনাবাহিনীর তথ্যমতে, মিয়ানমারের কাইন রাজ্যে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। সেনাবাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত তা ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে জান্তা সেনা ও স্থানীয় বেসামরিক লোকজন থাইল্যান্ডে পালিয়ে আসে।
কেএনএলএ-র রাজনৈতিক শাখার নেতা সো থামাইন তুন জানান, তাদের বাহিনী মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলের কয়েকটি সামরিক পোস্ট দখল করেছে। কিছু জান্তা সেনা আত্মসমর্পণ করেছে এবং বাকিরা পালিয়ে গিয়েছে। KNLA দীর্ঘদিন ধরে কারেন জনগণের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়ছে এবং এখন জান্তা বিরোধী মূল প্রতিরোধ জোটের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। সেনাবাহিনী বিভিন্ন জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গণতন্ত্রপন্থী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। সংঘাতে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, বর্তমানে মিয়ানমারের প্রায় ৮১ হাজার শরণার্থী বা আশ্রয়প্রার্থী থাইল্যান্ডে অবস্থান করছেন। decades ধরে KNLA মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী কারেন জনগণের জন্য বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে আসছে।