অযত্ন ও অবহেলার কারণে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট এখন পদ্মা নদীর ভাঙনের ভয়াবহ কবলে পড়েছে। উজান থেকে নেমে আসা প্রবল পানির চাপে ঘাটের পূর্ব পাশের পাড় নদীগর্ভে ধসে পড়ছে। এতে যে কোনো সময় পুরো ঘাট বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, নাজিরগঞ্জ ঘাটের মূল পল্টুন এলাকা থেকে বড় একটি অংশ ইতোমধ্যেই নদীতে পড়ে গেছে। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে অব্যাহত রয়েছে ভাঙন। নদীতীর থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরেই রয়েছে স্থানীয়দের বসতঘর। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে—কবে তাদের ঘরবাড়ি নদীতে চলে যাবে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “পশ্চিম পাশে ব্লক দেওয়া হলেও পূর্ব পাশে কোনো ব্যবস্থা নেই। কয়েক বছর ধরে ভাঙছে, কিন্তু এবার সবচেয়ে বেশি। কেউ দেখছে না। আমরা শুধু চাই নদীর তীর রক্ষা করা হোক।”
বিআইডব্লিউটিএ নাজিরগঞ্জ ঘাটের পোর্ট অফিসার তোফাজ্জল হোসেন জানান, “২০২৩ সালের মধ্যে ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও ডিসি ও ইউএনও তা দেননি। ফলে উন্নয়ন কাজ শুরু করা যায়নি। এভাবে চলতে থাকলে ফেরিঘাট পুরোপুরি ভেঙে যাবে, পল্টুন সরিয়ে নিতে হবে।”
সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, স্থানীয়দের আপত্তির কারণে ঘাটের জমি বুঝিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন এবং শুষ্ক মৌসুমে নদীশাসনের অভাবই এমন ভয়াবহ ভাঙনের জন্য দায়ী।