ভারতের গুজরাট রাজ্যে ভয়াবহ এক সেতু দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ জুলাই) আনন্দ ও বরোদা জেলার সংযোগকারী গম্ভীরা সেতুটি ভারি বৃষ্টির কারণে ধসে পড়ে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, সেতু ভেঙে পড়ার সময় দুটি ট্রাক, দুটি ভ্যানসহ আরও কয়েকটি যানবাহন মহীসাগর নদীতে পড়ে যায়।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জরুরি উদ্ধারকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। যদিও এখনো উদ্ধার কাজ অব্যাহত রয়েছে, তবে গম্ভীরা ব্রিজ ধসের ফলে আনন্দ, বরোদা, ভারুচ ও অঙ্কালেশ্বরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিকল্প রাস্তা খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, গুজরাটের বারবার সেতু দুর্ঘটনার দায়ভার কে নেবে? সমালোচকরা বলছেন, যেখানে বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের সেতু দুর্ঘটনাকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়েছিল, সেখানে নিজেদের শাসিত রাজ্যে একের পর এক অবহেলিত পরিকাঠামোর কারণে প্রাণহানির দায় এড়ানো যায় না। উল্লেখ্য, মোরবি সেতু দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গম্ভীরা ব্রিজটি প্রায় ৪৩ বছরের পুরনো এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে দুর্বল অবস্থায় ছিল। টানা ভারি বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, এত পুরনো সেতুর প্রয়োজনীয় পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ কেন করা হয়নি।