পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা ফেরত পেতে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগের কমিশন এই ক্ষমতা বাতিল করলেও বর্তমান কমিশন তা পুনরায় চালু করতে চায়। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) অষ্টম কমিশন সভা শেষে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, “ভোটে অনিয়ম হলে কেন্দ্রের ভোট বাতিলের ক্ষমতা আমাদের ছিলই। কিন্তু পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা একসময় বাদ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেই ক্ষমতা ফেরানোর প্রস্তাব করেছি। আশা করি শিগগিরই তা ফিরে পাব।”
তিনি আরও জানান, হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তার ভাষায়, “দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে প্রার্থীকে তা হলফনামায় ঘোষণা দিতে হবে এবং সনদ দিতে হবে। পাশাপাশি প্রার্থীর জীবনের সব ফৌজদারি মামলার তথ্যও জানাতে হবে। এছাড়া নিকট আত্মীয়দের সম্পদ বিবরণীও হলফনামায় দিতে হবে।”
এছাড়া নির্বাচন কমিশন যেন হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে—সেই ক্ষমতাও আইনে স্পষ্টভাবে সংযোজনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানান সানাউল্লাহ। বর্তমানে আইনে কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে, যেগুলো দূর করার কাজ চলছে।
তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও বর্তমান কমিশনের অভিজ্ঞতা সমন্বয় করেই প্রস্তাবগুলো তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচনকে আরও জবাবদিহিমূলক করতেই কমিশন এই উদ্যোগ নিয়েছে।”