নির্বাচন যত বিলম্বিত হবে, বাংলাদেশ ততই পিছিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সময়মতো নির্বাচন না হলে দেশে বিনিয়োগ আসবে না, নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়বে, বিচারব্যবস্থা ভেঙে পড়বে এবং আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটবে। এসব সমস্যার সমাধান একমাত্র জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই দিতে পারে।
সোমবার (৭ জুলাই) সিলেটের সানরাইজ কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায়।
মির্জা ফখরুল বলেন, “এমনি এমনি শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছাড়েননি। বহু মানুষের আন্দোলন, সংগ্রাম, এমনকি রক্তের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছিলাম। গণতন্ত্রের জন্য আজও আমাদের সেই সংগ্রাম চলছে।”
তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে মানুষ বাকস্বাধীনতা ভোগ করবে, নারীরা নিরাপদ থাকবে, তরুণদের জন্য কাজের সুযোগ থাকবে এবং সবাই সাশ্রয়ী ও মানসম্পন্ন চিকিৎসা পাবে। এই দেশের জন্যই আমরা আবারও আন্দোলন শুরু করেছি।”
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, “এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারেক রহমান। বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হলেও এখনও দল পরিচালনায় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের সূচনা করেছিলেন, আমরা সেই চেতনার ধারক।”
ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, “তিনি লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি প্রস্তাবনার রূপরেখা দিয়েছেন।”
সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, “মানুষের কাছে যান, বোঝান—বিএনপিই দেশের একমাত্র বিকল্প। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন। ইনশাআল্লাহ, বিজয় আমাদের হবেই।”