পূর্বাচলে ৬০ কাঠা সরকারি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ মোট ১০০ জনকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। ৩ জুলাই ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব স্বাক্ষরিত গেজেটটি প্রকাশিত হয়।
একইসঙ্গে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা আরও ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধেও হাজিরার জন্য গেজেট জারি করা হয়েছে। গেজেটে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি থাকলেও তারা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং শিগগির গ্রেপ্তার সম্ভব নয়। তাই ১৯৫৮ সালের ক্রিমিনাল ল’ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। অন্যথায় অনুপস্থিতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চলবে।
১ জুলাই গেজেট প্রকাশের আদেশ দেন বিচারক জাকির হোসেন গালিব। পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুলাই। বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম জানান, আসামিরা ওই দিনও অনুপস্থিত থাকলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শেখ হাসিনাসহ ১০০ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলাগুলোর অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে সরকারি প্লট নিজেদের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক, টিউলিপ সিদ্দিক, পুতুল, আজমিনা সিদ্দিকসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষপর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা।
জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে মামলাগুলোর তদন্ত শেষে চার্জশিট জমা দেন দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন, সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া এবং সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান। ছয়টি মামলায় প্রতিটিতে ১২ থেকে ১৮ জন পর্যন্ত আসামি রয়েছেন। এসব মামলায় মোট ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০ জুলাইয়ের শুনানিতে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানা গেছে।