Ridge Bangla

নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলেই তাকে চরিত্রহীন বলা হয়: সমাজকে কড়া বার্তা ঋতুপর্ণার

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত আবারও নিজের স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য আলোচনায়। পঞ্চাশোর্ধ্ব এই অভিনেত্রী বর্তমানে পর্দায় যেমন উজ্জ্বল, তেমনি সাহসী মন্তব্যের মাধ্যমেও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চলেছেন।

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে তার নতুন ছবি ম্যাডাম সেনগুপ্ত, যেখানে তার সঙ্গে অভিনয় করেছেন বলিউডের রাহুল বোস। সায়ন্তন ঘোষালের পরিচালনায় নির্মিত এই থ্রিলারধর্মী সিনেমায় ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছেন অনুরেখা সেনগুপ্ত চরিত্রে—এক বিবাহিত নারী, যার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে কার্টুনিস্ট রঞ্জনের (রাহুল বোস) সঙ্গে। সিনেমাটি বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যকার বন্ধুত্বের মানসিক জটিলতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণাকে প্রশ্ন করা হয়—“বিবাহিত নারী-পুরুষের মধ্যে কি সত্যিকারের বন্ধুত্ব সম্ভব?” উত্তরে তিনি বলেন, “সমাজ এখনো নারী-পুরুষের নিছক বন্ধুত্ব মেনে নিতে শেখেনি। আমরা নারীরা কাজের জায়গায় স্বাভাবিকভাবেই অনেক পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি। আমারও অনেক পুরুষ সহকর্মী ও বন্ধু আছেন। কিন্তু সমাজ এখনো বন্ধুত্বের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক খুঁজে বেড়ায়।”

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, “একজন নারীর যদি একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকে, সমাজ তৎক্ষণাৎ তাকে চরিত্রহীন বলে। অথচ একজন পুরুষের যদি অনেক নারী বন্ধু থাকে, তখন তাকে বেশ সম্মানের চোখে দেখা হয়। এই মানসিকতা আজও বদলায়নি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “একজন অভিনেত্রী বেশি কাজ করলেই গুজব ওঠে, সে নাকি পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছে। নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব মানেই শারীরিক সম্পর্ক থাকবে—এই ধারণাটাই ভ্রান্ত। বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ নেই, এটি নির্ভর করে মানুষ এবং তার মানসিকতার ওপর।”

ঋতুপর্ণার এই মন্তব্য ফের আলোচনায় এনেছে সমাজের পুরনো পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং নারীর স্বাধীনতার প্রতি অব্যাহত সংকীর্ণতা।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে: ১০

আরো পড়ুন