মালয়েশিয়ায় উগ্রপন্থি কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে কয়েকজনকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “মালয়েশিয়া সরকারের কাছে গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, “গ্রেপ্তারকৃতদের সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে আটক করা হয়েছে। আমরা জানতে চেয়েছি, তারা আদৌ কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল কিনা এবং তাদের সংশ্লিষ্টতার মাত্রা কতটুকু। যদি ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি তদন্ত করবে এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
তদন্তের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে—কতজনকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং কতজনকে ফেরত পাঠানো হবে। এ বিষয়ে স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “যদি কারও অপরাধ প্রমাণিত হয়, তাহলে দেশে ফিরলেও তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ভিসা প্রক্রিয়ায় এই ঘটনার সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নেতিবাচক যেকোনো বিষয় অবশ্যই ভিসা নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে আমরা যদি কূটনৈতিকভাবে সঠিক পদক্ষেপ নিই, তাহলে এ প্রভাব কমিয়ে আনা সম্ভব।”
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জানান, সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে ২৪ এপ্রিল থেকে তিন দফায় অভিযান চালিয়ে ৩৬ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে এবং তাদের শাহ আলম ও জোহর বাহরুর আদালতে তোলা হয়েছে।
তাছাড়া, ১৫ জনের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি করা হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার সম্ভাব্য প্রমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সরকার ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে এবং মালয়েশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।