অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণার পরিসর আরও সম্প্রসারণ এবং গবেষণার জ্ঞানকে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার (১ জুলাই) এক বার্তায় তিনি বলেন, “বিশ্বায়ন ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে উদ্ভাবন ও গবেষণার জ্ঞানকে সমাজে প্রয়োগ করতে হবে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতেও বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষা প্রদানে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে প্রত্যাশিত অবদান রাখবে।
ড. ইউনূস বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার—শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জাগরণের কেন্দ্রস্থল ছিল। এখান থেকেই ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ইতিহাস গড়ে উঠেছে।”
তিনি বলেন, “গত ফ্যাসিবাদী শাসনের শৃঙ্খল ভেঙে আমরা এখন বৈষম্যহীন ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের পথে আছি। এজন্য প্রয়োজন দক্ষ, মানবিক ও উদার মনোভাবসম্পন্ন মানবসম্পদ, যা গড়ে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা এ বছর ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস’-এর প্রতিপাদ্য—“বৈষম্যহীন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়”—কে সময়োপযোগী ও প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।