পাকিস্তানের জন্য ৩.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নবায়ন করেছে চীন, যা সম্প্রতি প্রাপ্ত অন্যান্য বাণিজ্যিক ও বহুপাক্ষিক ঋণের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করবে বলে রোববার পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করে।
সূত্র জানায়, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গত তিন বছর ধরে থাকা ২.১ বিলিয়ন ডলারের ঋণের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর সঙ্গে দুমাস আগে পরিশোধ করা ১.৩ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্যিক ঋণ পুনরায় বিনিয়োগ করা হবে। উল্লেখ্য, এই অর্থটি পাকিস্তান দুই মাস আগে ফেরত দিয়েছিল।
এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে আরও ১ বিলিয়ন ডলার এবং বহুপাক্ষিক অর্থায়নের মাধ্যমে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। এসব অর্থের মাধ্যমে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্ধারিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।
এই সহায়তা এমন এক সময় এলো যখন পাকিস্তান আইএমএফের সঙ্গে করা ৭০০ কোটি ডলারের বেইলআউট চুক্তির আওতায় আরোপিত অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নের চাপে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, জুন মাস শেষে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছানোর বাধ্যবাধকতা ছিল।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, আইএমএফ-সমর্থিত সংস্কার ও চীনের এই ঋণ নবায়নের ফলে দেশটির অর্থনীতি একটি স্থিতিশীল ভিত্তির দিকে এগোচ্ছে। বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণে বেইজিংয়ের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দ্য নিউজের তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় ৯২ শতাংশ আসে তিনটি প্রধান উৎস থেকে—বহুপাক্ষিক ঋণদাতা সংস্থা, দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা দেশ (এর মধ্যে চীন সবচেয়ে বড় অর্থায়নকারী) এবং আন্তর্জাতিক বন্ড ইস্যু।