মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইউরোপে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রতিরক্ষা খরচ নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন। তবে কূটনৈতিক মহলে এই সফরকে চাটুকারিতার চূড়ান্ত উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে সম্মেলনের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে “ড্যাডি” বলে সম্বোধন করেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। পরে ট্রাম্প এক ফাঁস হওয়া বার্তা প্রসঙ্গে বলেন, “আমার মনে হয় ও আমাকে পছন্দ করে।” এরপর হোয়াইট হাউস থেকে “ড্যাডিস হোম” শিরোনামে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে ইউরোপ সফরের বিভিন্ন মুহূর্তকে নাটকীয়ভাবে তুলে ধরা হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, রুটে ও অন্যান্য ইউরোপীয় নেতাদের এই আচরণ ছিল ট্রাম্পের মন জয় করার কৌশল। কেউ কেউ একে কৌশলগত আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখলেও, অনেকের মতে এটি ইউরোপীয় নেতাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমান মর্যাদার সম্পর্কের পরিবর্তে ট্রাম্পকে একচ্ছত্র নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত।
রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের একাংশ মনে করছেন, ট্রাম্প প্রকৃতপক্ষে চাটুকারিতায় সম্মানিত বোধ করেন না, বরং এতে নেতাদের দুর্বল হিসেবে দেখেন। এটি এক নতুন ধরণের আমেরিকান নেতৃত্বের প্রতিফলন—যেখানে পারস্পরিক মিত্রতা নয়, বরং ব্যক্তিকেন্দ্রিক আনুগত্যই প্রধান হয়ে উঠছে।