সার্ভার জটিলতায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ঝুলে আছে ৪৫ হাজার অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকের ভাতার আবেদন। এর ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব শিক্ষক, যাঁরা দীর্ঘ কর্মজীবন শেষে এখন অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে।
বেসরকারি শিক্ষকরা চাকরি শেষে কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের মাধ্যমে অবসর ভাতা পান। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় বছরের পর বছর ধরে আবেদন করে হয়রানির শিকার হন তারা। বর্তমানে অবসর সুবিধা বোর্ডে প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষকের আবেদন জমা আছে, তবে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সার্ভার নষ্ট থাকায় নতুন আবেদনও জমা দেওয়া যাচ্ছে না এবং পুরনো আবেদনগুলোর কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে অবসর সুবিধা বোর্ডের সচিব অধ্যাপক মো. জাফর আহম্মদ জানান, “সফটওয়্যার আমরা সময়ে সময়ে আপডেট করি। দীর্ঘদিনের একটি সফটওয়্যারকে আরও আধুনিক করতে হলে সময় লাগে। ব্যানবেইজের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।”
অন্যদিকে, কল্যাণ ট্রাস্টে জমা রয়েছে আরও প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষকের আবেদন। এখানে ২০২২ সাল পর্যন্ত অবসরে যাওয়া শিক্ষকরা এখনো ভাতা পাচ্ছেন। কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব শরীফা নাছরীন জানান, “৬৭৩ জন শিক্ষককে আমরা ইতোমধ্যে টাকা পৌঁছে দিয়েছি। ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে বাকিরাও শিগগিরই টাকা পেয়ে যাবেন।”
দুটি দপ্তরের আর্থিক সংকট নিরসনে প্রয়োজন প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ পর্যন্ত বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
বছরের পর বছর অপেক্ষা, দপ্তর দপ্তর ঘোরা, আর এখন প্রযুক্তিগত জটিলতা—সব মিলিয়ে অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষকরা এক দুঃসহ পরিস্থিতির মুখোমুখি।