Ridge Bangla

খরচ কমাতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশেষ কাগজে বই ছাপাবে এনসিটিবি, বাঁচবে ৫০০ কোটি টাকা

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৩০ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। বই ছাপানোর মান ও খরচের সমন্বয়ে এবার বিশেষ ধরনের কাগজ ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা পূর্বের তুলনায় প্রায় ৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করবে বলে জানা গেছে।

এনসিটিবির প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ ফাতিহুল কাদীর জানান, বিগত বছরগুলোতে টেন্ডার স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী না হওয়ায় নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানো হয়েছিল। এবার সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশেষ কাগজে এবং এক রঙে বই ছাপানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বই ছাপার জন্য নির্দিষ্ট কারখানাকে কাজ দেওয়া হবে এবং এনসিটিবির জন্য আলাদাভাবে কাগজ প্রস্তুত করা হবে।

তিনি আরও জানান, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার মূল্যায়ন চলছে, যা শেষ হলে বইগুলো প্রেসে পাঠানো হবে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের টেন্ডার এখনও প্রকাশ হয়নি; এগুলোও জুনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে।

উৎপাদন ও বিতরণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় সাড়ে ৮ কোটি এবং মাধ্যমিকে প্রায় ২১ কোটি বই ছাপানো হবে। যেখানে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মোট বইয়ের সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ কোটি, তা এবার কমে ৩০ কোটিতে নেমেছে। এর মধ্যে দশম শ্রেণির ৫ কোটি এবং অতিরিক্ত বিষয়ের আরও ৫ কোটি বই ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ছাপা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

২০২৬ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে বই ছাপাতে ১,৫৫৬ কোটি টাকা এবং প্রাথমিকের জন্য ৪২৩ কোটি টাকা খরচ হবে বলে ধরা হয়েছে। তুলনায়, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিকে খরচ হয়েছিল প্রায় ১,৬০০ কোটি এবং প্রাথমিকে ৪৪৯ কোটি টাকা।

এছাড়া, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত প্রাথমিকের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ২০১২ সালের কারিকুলামের বই পড়ানো হতো। তবে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২১ সালের কারিকুলামভিত্তিক পরিমার্জিত পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হবে।

সব মিলিয়ে, বই উৎপাদনের মান বজায় রেখে খরচ কমানো এবং সময়মতো বিতরণ নিশ্চিত করাই এনসিটিবির এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য।

এই পোস্টটি পাঠ হয়েছে:

আরো পড়ুন