এক দশকের অভিনয়জীবনে পরিণত ও বহুমাত্রিক এক শিল্পী হিসেবে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন তানিয়া বৃষ্টি। ২০১৫ সালে টেলিভিশন নাটকে অভিষেকের পর থেকে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ। প্রেমিকা থেকে শুরু করে প্রতিবাদী কিংবা প্রান্তিক নারীর চরিত্র—প্রতিটি ভূমিকায় নিজেকে ভেঙে গড়ে নিয়েছেন নিপুণভাবে।
তানিয়া বৃষ্টির অভিনয়ে একধরনের অনাড়ম্বর সৌন্দর্য আছে, যা সহজেই দর্শকের মনে ছাপ ফেলে। তাঁর হাসিতে মিষ্টতা, আবার চোখের ভাষায় অনুচ্চারিত বেদনার ছোঁয়া থাকে। সংলাপহীন অভিব্যক্তির মাধ্যমেও ফুটিয়ে তোলেন আবেগের সূক্ষ্মতা।
গত ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তাসের ঘর’, ‘মানুষ’, ‘ভালোবাসা অন্তহীন’, ‘পাষাণী’, ‘মনে পড়ে তোমাকে’ ও ‘ক্যাফেতে ভালোবাসা’ নাটকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে তিনি প্রশংসিত হয়েছেন। প্রতিটি নাটকে ছিল আলাদা গল্প, আলাদা রূপ—যেখানে নারীর মনের গভীর অনুভূতি তুলে ধরেছেন হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়ার মতো অভিনয়ে।
তবে তানিয়ার পথচলা কেবল আলোয় মোড়া ছিল না। কিছু কাজে তিনি নিজেই তৃপ্ত ছিলেন না। বর্তমানে গল্প ও চরিত্র বাছাইয়ে আরও বেশি সচেতন এই অভিনেত্রী বলেন, “গল্পের প্রতি এখন বেশি মনোযোগী আমি। শুধু ক্যামেরার সামনে মুখ দেখালেই হবে না, চরিত্রে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার সুযোগ থাকা চাই।”
অভিনয়ে মনোযোগী তানিয়া ব্যক্তিগত গুঞ্জন নিয়ে ভাবিত নন। সিনেমায় ‘ঘাসফুল’ দিয়ে বড় পর্দায় যাত্রা করলেও ছোট পর্দার সঙ্গেই রয়েছে তাঁর হৃদ্যতা। ২০১২ সালে ‘ভিট চ্যানেল আই টপ মডেল’ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানারআপ হয়ে শোবিজে পা রাখেন তিনি। সেখান থেকে আজকের তানিয়া—নিয়মিত নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করাই যেন তার মূল প্রেরণা।