চলতি বছরের নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে ব্যর্থতার কারণেই হাতছাড়া হয়েছে সেই সুযোগ। ফলে এবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হলে খেলতে হবে বাছাইপর্ব। আগামী ৯ থেকে ১৯ এপ্রিল পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হবে ছয় দলের এই বাছাইপর্ব। সেখানেই ভাগ্য নির্ধারণ হবে নিগার সুলতানা জ্যোতির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের।
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নারী বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। এরই মধ্যে আয়োজক দেশ ভারতসহ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপ (২০২২-২৫) থেকে শীর্ষ ছয় দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্ব থেকে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম ও লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এলসিসিএ) গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে মোট ১৫টি ম্যাচ। অংশ নেবে ছয়টি দল- স্বাগতিক পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং থাইল্যান্ড। এখান থেকে সেরা দুই দল সুযোগ পাবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে।
বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে। যদিও তিনটি ম্যাচ জিতলেও সুযোগ থাকতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে নেট রান রেট ও অন্যান্য দলের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই নিগার-নাহিদারা কোনো ঝুঁকি না নিয়ে প্রতিটি ম্যাচে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে চান।