মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান। এমন সময়ে অবসর ঘোষণা করলেন তিনি, যখন তার ক্যারিয়ারে ছিল উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ এবং দলে তার গুরুত্বও ছিল অপরিসীম।
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেওয়া পুরান জাতীয় দল ছাড়লেন তখন, যখন তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা ও সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের জায়গায় ছিলেন। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের পর অল্প সময়েই দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে ওঠেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পুরান খেলেছেন ১০৬ ম্যাচ, করেছেন ২,২৭৫ রান, স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৯, রয়েছে ১৩টি ফিফটি ও সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৮ রান। একইভাবে ওয়ানডেতে ৬১ ম্যাচে করেছেন ১,৯৮৩ রান, ৩টি সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে। বল হাতেও ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৬টি উইকেট। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৭ ম্যাচে এবং টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে।
পুরান সর্বশেষ মাঠে নেমেছেন সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে, যেখানে লক্ষ্ণৌর হয়ে ৫০০ রান করার পাশাপাশি আসরের সর্বোচ্চ ৪০টি ছক্কা মেরেছেন। আইপিএলের পর ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ালেও এবার কেবল একটি সিরিজ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চ থেকেই বিদায় নিলেন তিনি।
এক আবেগঘন ইনস্টাগ্রাম বার্তায় পুরান লেখেন, “মেরুন জার্সি গায়ে জড়ানো, জাতীয় সংগীতের সময় দাঁড়িয়ে থাকা এবং মাঠে নামলেই নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া… এসবের মানে আমার কাছে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। অধিনায়কত্ব আমার জীবনের গর্বের মুহূর্ত। আন্তর্জাতিক অধ্যায় শেষ হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা কখনোই শেষ হবে না।”
পুরানের অবসরের বিষয়ে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই) এক বিবৃতিতে জানায়, “নিকোলাস আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, যা তার ক্যারিয়ারের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি। মাঠে তার পারফরম্যান্স ও দলের অভ্যন্তরে তার প্রভাব ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে দীর্ঘস্থায়ী ছাপ রেখে যাবে।”