Ridge Bangla

আরবি শাওয়াল মাসের ছয় রোজার নিয়ম ও ফজিলত

আরবি শাওয়াল মাসের ছয় রোজা

রমজান মাসের পর আসে শাওয়াল। ইসলাম ধর্মে এ মাসটির রয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও ফজিলত। কারণ এই মাসেই মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর পালিত হয়। পাশাপাশি এই মাসে রয়েছে ‘শাওয়ালের ছয় রোজা’- যা নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুন্নত।

শাওয়ালের ছয় রোজার ফজিলত

রমজানের ফরজ রোজার পর শাওয়ালের ছয়টি নফল রোজা রাখা অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ। এতে রমজানের রোজায় হয়ে যাওয়া ছোটখাট ভুলত্রুটি পূরণ হয়ে যায় এবং এক বছর রোজা রাখার সওয়াব লাভ হয়।

হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি রমজানের রোজা পালন করেছে, এরপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রেখেছে, সে যেন সারা বছর রোজা রেখেছে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৪৮)

রোজা রাখার নিয়ম

  • ঈদের দিন রোজা রাখা নিষিদ্ধ।
  • ঈদের পরদিন থেকেই শাওয়ালের ছয় রোজা রাখা যায়।
  • একনাগাড়ে বা মাঝে বিরতি দিয়েও রোজা রাখা যায়।
  • মাসের যেকোনো ছয়দিন রোজা রাখলেও সওয়াব পাওয়া যায়, তবে ধারাবাহিকভাবে রাখলে উত্তম।
  • কেউ চাইলে ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখের ‘আইয়ামে বীজ’–এর রোজার সঙ্গে মিলিয়ে রাখতে পারেন। এতে আইয়ামে বীজের রোজার সওয়াবও পাওয়া যাবে।

শাওয়ালের ছয় রোজা শুধু রমজানের একটি পরিপূরক নয়, বরং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নফল ইবাদত। যারা রমজানে রোজা পালন করেছেন, তাদের উচিত শাওয়ালের এই ছয় রোজাও রাখা। এর মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পাশাপাশি সারা বছরের রোজার সওয়াব লাভ করা সম্ভব।

আরো পড়ুন