Ridge Bangla

কক্সবাজার উপকূলে ১৬ ঘণ্টায় ৬ মরদেহ উদ্ধার

কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলজুড়ে মাত্র ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন তিনজন পর্যটক, একজন স্থানীয় বাসিন্দা, এবং আরও দুইজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এই ঘটনায় কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, রোববার (৮ জুন) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (৯ জুন) দুপুর পর্যন্ত ডায়াবেটিস পয়েন্ট, সায়মন বিচ, নাজিরারটেক, খুরুশকুল, শৈবাল পয়েন্ট, বাঁকখালী নদীর মোহনা এবং হিমছড়ি এলাকায় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামের ডিসি রোডের বাসিন্দা মো. রাজিব সি-গাল পয়েন্টে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যান। তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় মধ্যরাতে। রাজশাহীর বাসিন্দা শাহীনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০) একসঙ্গে গোসলে নেমে ডুবে যান। লাইফগার্ড কর্মীরা তাদের উদ্ধার করলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকেই মৃত ঘোষণা করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরু সওদাগর মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় শৈবাল পয়েন্ট থেকে। এছাড়া বাঁকখালী নদীর মোহনা ও হিমছড়ি এলাকা থেকে দুটি অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সি-সেইফ লাইফগার্ডের কর্মী সাইফুল্লাহ সিফাত জানান, বর্ষাকালে সাগরে গুপ্ত খালের সৃষ্টি হওয়ায় স্রোতের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। তিনি বলেন, ২৭ জন লাইফগার্ড দিয়ে পুরো সৈকতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

আরো পড়ুন