বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) দেশের কৃষি খাতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি পারমাণবিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্প্রতি ৭টি নতুন ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। ভৌগলিক জলবায়ু ও কৃষি পরিবেশের সঙ্গে মিল রেখে আরও ৪টি নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের কাজ চলমান রয়েছে।
রোববার (২ জুন) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনার সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। উদ্ভাবিত নতুন জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে উপকারি ফল সফেদা, বিনা সরিষা-১২, বিনা তিল-৫ ও ৬, বিনা কালোজিরা-১, বিনা মসুরী-৫ এবং বিনা খেসাড়ি-৩।
প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ড. মো. মাহবুবুল আলম তরফদার কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এবং জানান, দীর্ঘ গবেষণা কার্যক্রম শেষে এই জাতগুলো উদ্ভাবন করা হয়েছে। পাশাপাশি আরও ৪টি নতুন ধানের জাত খুব দ্রুত কৃষকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিনার মহাপরিচালক ড. মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তব্য দেন উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মো. মোহাম্মদ আশিকুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবায়ের হোসেন বাবলু। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনার পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও পরিকল্পনা) ড. মো. শরিফুল হক ভূঞা, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. হোসেন আলী, পরিচালক (প্রশাসন ও সাপোর্ট সার্ভিস) ড. মো. আজিজুল হক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. সালমা লাইজু ও বিনার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. শফিকুল আলম।
বিনার মহাপরিচালক জানান, “এই নতুন জাতসমূহ কৃষকদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ হবে। এগুলো স্বল্প সময়ে পরিপক্ব হয়, উচ্চ ফলন দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।”
উল্লেখ্য, বিনা এ পর্যন্ত ধান, গম, ডাল, তেলবীজ, সবজি ও মসলা জাতীয় শস্যসহ মোট ১৩৪টি ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে।