কক্সবাজারে ঈদ উপলক্ষে পর্যটকের ঢল নেমেছে। বুধবার সকাল থেকেই সৈকতের মূল তিনটি পয়েন্ট কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবনী ছাড়াও পাথুরে সৈকত ইনানী, পাটুয়ারটেক, প্রাকৃতিক ঝরনার হিমছড়িসহ জেলার অন্যান্য পর্যটনস্থানে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
গভীর সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন হাজারো পর্যটক। কেউ ঘোড়ায় চড়ছেন, কেউ জেটস্কি কিংবা ওয়াটার বাইকে করে ঘুরে ঘুরে উপভোগ করছেন সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য। কেউ আবার ছাতার নিচে বসে সমুদ্রের ঢেউ আর বাতাসে হারিয়ে যাচ্ছেন নীরব প্রশান্তিতে।
ঈদের তৃতীয় দিন বুধবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের তিনটি মূল পয়েন্টসহ আশেপাশের আবাসিক হোটেল, গেস্ট হাউস ও কটেজে প্রায় দেড় থেকে দুই লাখ পর্যটকের আগমন ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে শতভাগ বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। সব মিলিয়ে কক্সবাজারে অবস্থানরত পর্যটকের সংখ্যা ২ লক্ষাধিক।
এবার ঈদে টানা ছুটি থাকায় পর্যটক সমাগম প্রতিদিনই বাড়ছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যটকদের যেন কোনো হয়রানির শিকার হতে না হয় সে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও জেলা পুলিশ। সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি আনন্দমুখর ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে ঈদ উদযাপন করছেন আগত পর্যটকেরা।