পাক গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ভারতের হরিয়ানা, পাঞ্জাব এবং উত্তর প্রদেশে অভিযান চালিয়ে ৯ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। এই ঘটনা এমন সময় ঘটল যখন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নতুন করে উত্তেজনাময় হয়ে উঠেছে এবং গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—জ্যোতি মালহোত্রা, দেবেন্দ্র সিং, নুমান ইলাহি, আরমান, তারিফ, শাহজাদ, মুহম্মদ আলী মুর্তজা, গাজালা মাহমুদ এবং ইয়ামিন মাহমুদ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জন হরিয়ানার, ৩ জন পাঞ্জাবের এবং ১ জন উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে কেউ ট্রাভেল ব্লগার, কেউ নৈশ প্রহরী, কেউ শিক্ষার্থী আবার কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
জ্যোতি মালহোত্রা নামে ৩৩ বছর বয়সী ট্রাভেল ব্লগারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পেহেলগামে হামলার আগে তিনি পাকিস্তানের ভারতে নিযুক্ত এক দূতাবাস কর্মকর্তার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং ভারতের সামরিক বাহিনীর কিছু তথ্য হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেই কর্মকর্তার সঙ্গে শেয়ার করেছেন।
পাঞ্জাবের পাতিয়ালা জেলার খালসা কলেজের শিক্ষার্থী দেবেন্দ্র সিং ১২ মে হরিয়ানার কাইথাল থেকে গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে সম্পর্কিত এবং পাতিয়ালা সেনানিবাসের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে শেয়ার করেছেন।
হরিয়ানার নুহ জেলার তাইডু সাবডিভিশন থেকে তারিফ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার বিরুদ্ধে ভারতে পাক চর হিসেবে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে। একই অভিযোগে পাঞ্জাব থেকে গাজালা মাহমুদ ও ইয়ামিন মাহমুদ নামের আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই গুপ্তচরবৃত্তির গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনা ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।