উচ্চ কোলেস্টেরলকে নীরব ঘাতক বলা হয়, কারণ এটি নিরবেই শরীরে ক্ষতি করে এবং হৃদরোগ, স্ট্রোকসহ নানা জটিল অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যদিও প্রাথমিকভাবে কোনো উপসর্গ দেখা না যেতে পারে, তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা সতর্কতা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিচের ছয়টি শারীরিক উপসর্গ উচ্চ কোলেস্টেরলের ইঙ্গিত দিতে পারে:
১. চোখের চারপাশে হলুদ চর্বিযুক্ত দাগ বা ফোলা ভাব
ব্যথাহীন হলেও এটি রক্তে অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের উপস্থিতির স্পষ্ট লক্ষণ হতে পারে।
২. চোখ, গাল, কনুই বা হাঁটুর কাছে ফুঁসকুড়ির মতো হলুদ দানা
এগুলোকে জ্যান্থোমাস বলা হয়, যা শরীরে লিপিড জমে যাওয়ার কারণে হয়ে থাকে।
৩. চোখের কর্নিয়ার চারপাশে ধূসর বা সাদা রিং (কর্নিয়াল আর্কাস)
এটি বয়স বাড়ার সঙ্গে স্বাভাবিক হলেও ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে দেখা গেলে তা কোলেস্টেরলের সতর্ক সংকেত হতে পারে।
৪. ত্বকে হলদেটে ছোপ বা দাগ (জ্যান্থোডার্মা)
মুখ বা চোখের আশেপাশে দেখা দিতে পারে, যা চর্বিযুক্ত পদার্থ জমার ইঙ্গিত দেয়।
৫. মুখ, বাহু বা নিতম্বে লাল বা হলুদ গুটি গুচ্ছ (বিস্ফোরিত জ্যান্থোমাস)
এটি রক্তে অতিরিক্ত ট্রাইগ্লিসারাইড থাকার কারণে হয় এবং জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন।
৬. দৃষ্টি সমস্যার পাশাপাশি চোখে অস্বাভাবিক পরিবর্তন
বিশেষ করে কর্নিয়ার রঙ বা গঠন পরিবর্তিত হলে, তা লিপিড জমার ফল হতে পারে।
উপরোক্ত লক্ষণগুলোর যেকোনো একটি বা একাধিক দেখা গেলে অবহেলা না করে দ্রুত রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পরীক্ষা করিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সময়মতো ব্যবস্থা না নিলে উচ্চ কোলেস্টেরল হৃদরোগসহ প্রাণঘাতী জটিলতার ঝুঁকি বহুগুণ বাড়াতে পারে।