ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রভাব পড়েছে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে। রবিবার (১৮ মে) পর্যন্ত বন্দর সংলগ্ন পার্কিং এলাকায় তৈরি পোশাক পণ্য (গার্মেন্টস) বোঝাই ৩৬টি বাংলাদেশি ট্রাক ভারত প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (DGFT) থেকে স্থলবন্দর দিয়ে এসব পণ্যের আমদানি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুজিবর রহমান বলেন, “এ নিষেধাজ্ঞার ফলে রপ্তানিকারকরা আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। স্থলপথে পণ্য পাঠানো সাশ্রয়ী হলেও এখন অনেকেই বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল সমুদ্র কিংবা বিমান পথে রপ্তানির চিন্তা করছেন।”
সংগঠনটির কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞার কারণে বাণিজ্য কার্যক্রমে ধস নেমেছে। অনেক প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়মতো পণ্য পৌঁছে দিতে পারছে না, ফলে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্কেও টানাপড়েনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, যেসব চালানের এলসি বা টিটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে, সেগুলো ছাড়ের বিষয়ে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা দ্রুত এই সংকট নিরসনে দুই দেশের সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে করে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা যায় এবং আর্থিক ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়।