ঐতিহাসিক কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতের ১৯৮তম আয়োজন। ঈদের দিন সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত।
বুধবার (৪ জুন) ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, জামাতের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মুসল্লিদের কাতারবিন্যাস, সাউন্ড সিস্টেম, টেন্ট, জল সরবরাহ ও অন্যান্য লজিস্টিক ব্যবস্থা সম্পন্ন হয়েছে। তিনি দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শোলাকিয়া জামাতে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
নিরাপত্তায় ৫ স্তরের বলয়
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শোলাকিয়ায় গড়ে তোলা হয়েছে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। ঈদগাহ চত্বরে সিসিটিভি, ড্রোন ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর বসানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে।
নামাজের সময় মাঠে ও আশপাশে থাকবেন ১১০০ পুলিশ সদস্য, ৫ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, এপিবিএন ও আনসার সদস্যরা। এছাড়া ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, মেডিকেল টিম এবং পুলিশের কুইক রেসপন্স টিমও প্রস্তুত থাকবে।
মাঠে প্রবেশের সময় মুসল্লিদের শুধুমাত্র জায়নামাজ সঙ্গে আনার অনুরোধ করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ডিভাইস, দাহ্য পদার্থ, ছাতা ও ব্যাগ সঙ্গে আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
ইমাম ও বিকল্প ইমাম
এবারের জামাতে ইমামতি করবেন বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবুল খায়ের মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ। বিকল্প ইমাম হিসেবে প্রস্তুত থাকবেন মাওলানা জুবায়ের ইবনে আব্দুল হাই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের জঙ্গি হামলার পর শোলাকিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে জোরদার করা হয়, যা এখনো কঠোরভাবে পালন করা হচ্ছে।