আগামী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে জড়িত সব পক্ষের উপস্থিতিতে বহুল আলোচিত জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন করবে অন্তর্বর্তী সরকার। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়েছে, জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। ওই দিন বিকেল ৫টায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। অনুষ্ঠানের স্থান ও কার্যক্রমের বিস্তারিত শিগগিরই জানানো হবে।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘোষণাপত্রে গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে একটি ন্যায্য, সমতা ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রূপরেখা তুলে ধরা হবে। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
জুলাই ঘোষণাপত্রকে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক ও নাগরিক সংগঠনগুলো ইতোমধ্যে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ ঘোষণাপত্র বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
অন্তর্বর্তী সরকার সূত্র জানিয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় সব পক্ষের মতামত নিয়েই ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে জনগণের প্রত্যাশা, আন্দোলনের মূল দাবি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত হবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ নিয়ে জনমনে কৌতূহল ও প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। ৫ আগস্টের ঘোষণার মধ্য দিয়ে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।