দেশের সরকারি কলেজ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষক সংকট দূর করতে ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের আয়োজন করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এই বিশেষ বিসিএসের মাধ্যমে মোট ৬৮৩ জন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত, এবং পরীক্ষার কেন্দ্র শুধুমাত্র ঢাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪৯তম বিশেষ বিসিএসে আবেদন করেছেন মোট ৩ লাখ ১২ হাজার প্রার্থী। এর অর্থ প্রতিটি পদে গড়ে ৪৫৬ জন প্রার্থী প্রতিযোগিতা করবেন। যেহেতু এটি শিক্ষা ক্যাডারের বিশেষ বিসিএস, তাই প্রার্থীরা তাদের নির্দিষ্ট বিভাগের মধ্যে প্রতিযোগিতা করবেন। ফলে বিভাগভেদে আসনের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা ভিন্ন হতে পারে। বিশেষ বিসিএসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেই। সরাসরি ২০০ নম্বরের এমসিকিউ টাইপ লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২১ জুলাই ৪৯তম বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। অনলাইনে আবেদন শুরু হয় ২২ জুলাই থেকে চলতি ২২ আগস্ট পর্যন্ত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদনকারীরা ২৫ আগস্ট রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি পরিশোধ করতে পারতেন। সাধারণ প্রার্থীর জন্য ফি ২০০ টাকা, ক্ষুদ্র জাতি, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীর জন্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বয়সসীমা রাখা হয় ২১ থেকে ৩২ বছর।
নিয়োগ দেওয়া হবে সরকারি সাধারণ কলেজে ৬৫৩টি শূন্যপদে এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০টি শূন্যপদে। সর্বাধিক ৬১টি শূন্যপদ থাকবে বাংলা বিভাগের জন্য। এছাড়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান ৫৫টি, ইংরেজি ৫০টি, অর্থনীতি ৪০টি, দর্শন ৩০টি, রসায়ন ৩০টি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি ৩২টি শূন্যপদে প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
