সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। দুপুর ১২টা পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ২৫৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তত্ত্বাবধানে লাখো প্রার্থী এতে অংশ নিচ্ছেন।
বিপিএসসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর গেট বন্ধ হয়ে গেলে আর কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। প্রবেশের সময় প্রবেশপত্রের ছবি ও তথ্য উপস্থিতির তালিকার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র চার সেটে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি সঠিক উত্তরে এক নম্বর যোগ হবে, তবে ভুল উত্তরে কাটা যাবে শূন্য দশমিক পাঁচ নম্বর। দুই ঘণ্টার এই পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না। বই-পুস্তক, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা ও যেকোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রে প্রবেশের সময় মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশি চলছে। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ প্রবেশ করলে কিংবা নকলের প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রার্থিতা বাতিলের পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সুবিধা রাখা হয়েছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা শ্রুতিলেখক পাচ্ছেন এবং তাঁদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় বরাদ্দ রয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ মিনিট করে অতিরিক্ত সময় দেওয়া হচ্ছে। প্রবেশপত্র ছাড়া কেউ হলে প্রবেশ করতে পারছেন না; হারিয়ে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নতুন করে ডাউনলোড করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
এছাড়া ইংরেজি ভার্সনের পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আসন বিন্যাস ও প্রশ্নপত্র ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, পরীক্ষায় অনিয়ম বা অসদাচরণ প্রমাণিত হলে প্রার্থিতা বাতিলসহ ২০২৩ সালের বিপিএসসি আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।