সর্বকালের সেরা ও সর্বজয়ী ফুটবলার লিওনেল মেসি ৩৮ পেরিয়ে ৩৯ বছরে পা রাখলেন। ৩৮ বছর বয়সে এসে নিজের প্রথম বিশ্বকাপজয়োৎসব-পরবর্তী জন্মদিন উদযাপন করলেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্ম নেওয়া মেসি আজ কেবল একজন খেলোয়াড়ই নন—একটি ইতিহাসের নাম।
শৈশবের হরমোনজনিত সমস্যাকে জয় করে, এক টিস্যু পেপারে চুক্তি স্বাক্ষর করে বার্সেলোনায় পাড়ি দেওয়া সেই বালক আজ ফুটবলের মহাতারকা। বার্সেলোনায় প্রায় দুই দশকের শাসন, আর্জেন্টিনাকে কোপা ও বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দ, মেসিকে নিয়ে গড়া হয়েছে শত শত রেকর্ড।
৩৮তম জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক মেসির ক্যারিয়ারের ৩৮টি সেরা অর্জন ও রেকর্ড:
১. ইতিহাসের একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ৮টি ব্যালন ডি’অর জয়।
২. একমাত্র খেলোয়াড়, যিনি দুটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন (২০১৪, ২০২২)।
৩. বার্সেলোনার সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬৭২)।
৪. লা লিগার সর্বোচ্চ গোল (৪৭৪)।
৫. এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫০ গোল (২০১১–১২)।
৬. লা লিগায় সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট (১৯২)।
৭. লা লিগায় ৩৬ ও চ্যাম্পিয়নস লিগে ৮টি হ্যাটট্রিক।
৮. এক বছরে সর্বোচ্চ ৯১ গোল (২০১২)।
৯. এল ক্লাসিকোতে সর্বোচ্চ ২৬ গোল।
১০. লা লিগায় বিদেশি হিসেবে সর্বোচ্চ ৫২০ ম্যাচ।
১১. নন-স্প্যানিশ হিসেবে সর্বোচ্চ লিগ শিরোপা জয়।
১২. দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোল (১১২)।
১৩. চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ৫ গোলের রেকর্ড।
১৪. চ্যাম্পিয়নস লিগে গ্রুপ ও নকআউট মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোল।
১৫. চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৭৮ গোল।
১৬. এক ক্লাবের হয়ে সর্বোচ্চ ১২০ গোল (চ্যাম্পিয়নস লিগে)।
১৭. টানা ১৮ মৌসুমে গোল (চ্যাম্পিয়নস লিগ)।
১৮. চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ৮টি হ্যাটট্রিক।
১৯. ইউরোপের শীর্ষ ৫ লিগে সর্বোচ্চ ৪৯৬ গোল।
২০. সর্বোচ্চ ৬টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
২১. সর্বোচ্চ ৮টি পিচিচি ট্রফি।
২২. লা লিগায় ৩০০ ম্যাচে গোল করার রেকর্ড।
২৩. এক মৌসুমে ২৭টি ম্যাচে গোল।
২৪. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২,৩১৪ মিনিট খেলা।
২৫. উয়েফা টুর্নামেন্টে এক ক্লাবের হয়ে ১২৩ গোল।
২৬. পাঁচটি বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করা একমাত্র খেলোয়াড়।
২৭. আর্জেন্টিনার হয়ে সর্বোচ্চ ১৯৩ ম্যাচ।
২৮. বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সবচেয়ে কম বয়সী গোলদাতা (১৮ বছর ৩৫৭ দিন)।
২৯. চারটি বিশ্বকাপে গোল করা একমাত্র আর্জেন্টাইন।
৩০. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ২৬ ম্যাচ খেলা।
৩১. বিশ্বকাপে প্রতিটি ধাপে গোল করা একমাত্র খেলোয়াড়।
৩২. আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৩ গোল।
৩৩. বিশ্বকাপে ২১টি গোলে সরাসরি অবদান (১৩ গোল + ৮ অ্যাসিস্ট)।
৩৪. ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৪৬টি শিরোপা জয়।
৩৫. টানা ৪টি ব্যালন ডি’অর জয় করা একমাত্র খেলোয়াড়।
৩৬. বিশ্বকাপে অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ১৯ ম্যাচ।
৩৭. বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ মাঠে থাকার সময় (২,৩১৪ মিনিট)।
৩৮. চ্যাম্পিয়নস লিগে ১০০ গোল করতে সবচেয়ে কম ম্যাচ (১২৩টি)।
