২০৩৫ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ অন্তত ৬২% কমানোর নতুন লক্ষ্য ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৩% নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের মাথাপিছু সর্বাধিক দূষণকারী দেশগুলোর একটি, যেকারণে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রয়েছে দেশটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ নতুন লক্ষ্য ঘোষণা করে বলেন, “এটি একটি দায়িত্বশীল ও বিজ্ঞানসম্মত লক্ষ্য, যা বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা এবং প্রমাণিত প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।”
এদিকে সরকারি কমিশনকৃত এক ঝুঁকি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অস্ট্রেলিয়া ক্রমবর্ধমান চরম আবহাওয়ার মুখোমুখি হবে। ইতিমধ্যেই দেশটিতে ভয়াবহ খরা, বিধ্বংসী দাবানল ও রেকর্ড ভাঙা বন্যার ঘটনার স্বাক্ষী হয়েছে। উষ্ণ সমুদ্র অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ ও নিনগালু রিফে ব্যাপক প্রবাল বিবর্ণতার কারণ হয়েছে।
নতুন লক্ষ্যটি প্যারিস জলবায়ু চুক্তির বাধ্যবাধকতার অংশ, যেখানে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এ নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে বিভক্তি রয়ে গেছে। বিরোধীদল নতুন লক্ষ্যকে ব্যয়বহুল ও অবিশ্বস্ত আখ্যা দিয়ে বিরোধিতা করছে, অন্যদিকে গ্রিনস ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা দ্রুততর পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও, সম্প্রতি একটি বড় গ্যাস প্রকল্পকে ২০৭০ সাল পর্যন্ত চালানোর অনুমতি দিয়েছে, যা পরিবেশবাদীদের তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।