যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ১৯টি দেশের নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী ৯ জুন থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এক ঘোষণায় জানানো হয়, সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর। দেশগুলো হলো: আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো-ব্রাজাভিল, নিরক্ষীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।
এছাড়া আংশিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে আরও সাতটি দেশ—বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ এক ভিডিও বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
ট্রাম্প বলেন, “কলোরাডোর বোল্ডারে সাম্প্রতিক এক হামলায় ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা আমাদের দেখিয়েছে, কতটা বিপদ তৈরি হয় যখন বিদেশিরা যথাযথ যাচাই ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে অথবা ভিসার সময়সীমা পেরিয়ে থেকেও যায়।”
তিনি আরও বলেন, “যাদের নিরাপদ হিসেবে যাচাই করা যায় না, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যেসব দেশের নাগরিকদের যথাযথভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, তাদের জন্য আমেরিকার সীমান্ত ‘উন্মুক্ত’ রাখা যাবে না।”
নতুন নিষেধাজ্ঞার কঠোরতা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো কতটা ‘বিপদজনক’ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে তার ওপর। তবে ট্রাম্প জানান, ভবিষ্যতে এই নিষেধাজ্ঞার তালিকা পরিবর্তন হতে পারে, যদি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটে।