দীর্ঘ ১৮ বছর পর অবশেষে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অবহেলিত ও অচল অবস্থায় পড়ে থাকা কার্যালয়টি সম্প্রতি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্যোগে সংস্কার করা শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছেঁড়া টিনের ছাদ, ভাঙা দরজা-জানালা আর ধুলোময় দেয়াল—এভাবেই দীর্ঘদিন পড়ে ছিল দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির কার্যালয়। ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় নেতারা দলীয় কার্যক্রম চালাতেন নিজেদের দোকান কিংবা বাসায়। অথচ জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা বিএনপির এমন একটি কার্যালয় স্থানীয়ভাবে হয়ে উঠেছিল অবহেলার প্রতীক, নেতাকর্মীদের ভাষায়—“ভূতের বাড়ি”।
এ অবস্থার অবসান ঘটে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে। কার্যালয়ের জীর্ণ দশা নিয়ে প্রচারিত প্রতিবেদনটি দলীয় কর্মীদের মধ্যে নাড়া দেয়। একজন সিনিয়র নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “বিএনপির মতো বড় দলের কার্যালয়ের এমন অবস্থা লজ্জাজনক। এটা নেতৃত্বের ব্যর্থতার ফল।”
প্রতিবেদনটির পরেই নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয় নতুন উদ্দীপনা। শুরু হয় কার্যালয় পরিষ্কার করা, নতুন সাইনবোর্ড লাগানোসহ সংস্কার কার্যক্রম। অনেকেই বলেন, সামান্য উদ্যোগেই ভবনটি নতুন রূপ পেতে পারত, কিন্তু নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে তা হয়নি।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এস এ কবির জিন্নাহ বলেন, “টিভি রিপোর্টের পর আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখি। উপজেলা কমিটিকে নিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছি। এটি আমরা মডেল কার্যালয় হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”
এ সংস্কারের মধ্য দিয়ে দলীয় কর্মকাণ্ডে নতুন করে প্রাণ ফিরে আসার আশা করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।