১৬ বছর পর আবার চালু হচ্ছে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২১ থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই পরীক্ষায় অংশ নেবে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃত্তি পরীক্ষা-২০২৫ সংক্রান্ত একটি জরুরি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে।
নির্দেশনায় জানানো হয়, বাংলা, ইংরেজি, প্রাথমিক গণিত, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান—এই পাঁচটি বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হবে। প্রতিটি বিষয়ের পূর্ণমান ১০০ এবং পরীক্ষার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় থেকে এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।
২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা (পিইসিই) চালু হলে ঐ বছরের পর থেকে বৃত্তি পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। পূর্বে পঞ্চম শ্রেণির শেষে বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের মাসিক হারে বৃত্তি প্রদান করা হতো।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থাকবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়।