ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ১১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের কর্ণধার ও ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম), সিকদার পরিবারের সদস্যসহ মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, আসামিদের মধ্যে এস আলমের স্ত্রী ও ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ফারজানা পারভীনও রয়েছেন।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, আত্মসাৎকৃত মূলধনের পরিমাণ ১১০ কোটি ২৭ লাখ টাকা হলেও সুদসহ মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০৭ কোটি ৪২ লাখ টাকারও বেশি। তদন্তে দেখা গেছে, ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অনিয়ম, শর্তভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সিকদার গ্রুপের কর্মচারী সৈয়দ কামরুল ইসলাম ‘এস. কিউ. ট্রেডিং অ্যান্ড ডেভেলপার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হয় এবং পরদিনই ১১০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদনের আবেদন করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কোনোরূপ জামানত, প্রকল্প পরিদর্শন প্রতিবেদন কিংবা আইনজীবী-অডিটরের মতামত ছাড়াই ঋণ অনুমোদন দেয়।
এরপর ওই অর্থ একাধিক পে-অর্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করে পুনরায় সিকদার পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন হিসাবে ফিরিয়ে আনা হয়। দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, এটি প্রতারণা, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাতের একটি সুপরিকল্পিত প্রক্রিয়া। এজন্য এস আলম, রন হক সিকদার, রিক হক সিকদারসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।