সিলেটে লোডশেডিং ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কুমারগাঁওয়ের ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার স্টেশনটি প্রায় ১০ দিন ধরে বন্ধ থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে মারাত্মক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এতে শহরজুড়ে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকছে না, আর শহরের বাইরের এলাকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, অতিরিক্ত গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে গেছে। সেই সঙ্গে কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশনের ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ায় সেটি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে পুরো অঞ্চলকে এখন জাতীয় গ্রিডের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যেখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। কবে এই স্টেশনটি পুনরায় চালু হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ।
শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের কাজ, পড়াশোনা, ঘুমসহ দৈনন্দিন সব কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। কেউ কেউ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, আবার কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনেক গ্রাহক বিদ্যুৎ অফিসে কল করে ক্ষোভ ঝাড়ছেন।
সিলেট পিডিবির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, কুমারগাঁও স্টেশন চালু না হওয়া পর্যন্ত এই ভোগান্তি চলবে। ট্রান্সফরমার মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আনতে হয়, যার কারণে সময় লাগছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন জানান, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই কিছু এলাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে কুমারগাঁও পাওয়ার স্টেশন চালু হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।