একসময় আমদানিনির্ভর হিসেবে পরিচিত হিলি স্থলবন্দর এখন রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে। চলতি বছরের জুন থেকে এ বন্দর দিয়ে ভারতমুখী পণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। মাত্র তিন মাসে ৩ হাজার ১২৫ টন খাদ্যপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরের ভেতরে-বাইরে বাংলাদেশি ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, ভারতগামী পণ্য ছাড়ের অপেক্ষায়।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে এ বন্দর দিয়ে ম্যাংগো ও লিচি ড্রিংকস, কোমল পানীয়, টোস্ট-বিস্কুট, জেলি, চকলেট, টফি, মটর ভাজা, তুলা, রাইস ব্র্যান ক্রুড অয়েল ও ফ্যাটি এসিডসহ নানা ধরনের পণ্য রপ্তানি হচ্ছে।
রপ্তানিকারক প্রতিনিধি রাশেদ বলেন, “দীর্ঘদিন পর রপ্তানি চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের বাজারে আমাদের খাদ্যপণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তবে একমুখী রাস্তার কারণে সময়মতো রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। রাস্তা প্রশস্ত হলে রপ্তানি আরও বাড়বে।”
বাংলা হিলি সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, বাংলাদেশের সবজিরও ভারতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন অফিস না থাকায় সবজি রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। দুই দেশের আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হলে রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন বলেন, আগে সীমিত পণ্য রপ্তানি হতো। এখন তালিকায় নতুন পণ্য যোগ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় কাস্টমস সবসময় প্রস্তুত রয়েছে।