Ridge Bangla

স্টারলিংক দেশি উদ্যোক্তাদের জন্য হুমকি, ৭ দফা দাবি আইএসপিএবির

দেশীয় ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের জন্য স্টারলিংককে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। প্রতিযোগিতায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে তারা সাত দফা দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (২৮ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালীর রাওয়া কনভেনশন হলে টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি আয়োজিত “খসড়া টেলিকম নীতিমালা ও আইএসপি শিল্পের চ্যালেঞ্জ” শীর্ষক কর্মশালায় এসব দাবি তোলা হয়। কর্মশালায় দেশের ইন্টারনেট খাত নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা।

টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমারের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। আলোচনায় অংশ নেন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম, মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া, সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম ও ইমদাদুল হক। প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মোবারক হোসেন।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রস্তাবিত খসড়া টেলিকম নীতিমালা গত ২৭ বছরে সবচেয়ে বড় নীতিগত সংকট তৈরি করেছে, যা আত্মবিরোধী। তিনি জানান, কম দামে ভালো ইন্টারনেট দেওয়া বাস্তবসম্মত নয়। সরকার প্রায ৬০ শতাংশ কর ও রাজস্ব নেয়—এ অবস্থায় দাম কমানো অসম্ভব। সাশ্রয়ী সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন বাস্তবভিত্তিক পলিসি।

মহাসচিব নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, অ্যাক্টিভ শেয়ারিং না থাকায় প্রচুর অর্থের অপচয় হচ্ছে। এরই মধ্যে ধানমন্ডিতে ১ জিবিপিএসের একটি কমন ক্যাবল লাইন বসিয়ে ৭৭টি আইএসপি একসঙ্গে উচ্চগতির ইন্টারনেট দিচ্ছে।

নেতারা বলেন, স্টারলিংকের মতো বৈশ্বিক স্যাটেলাইটভিত্তিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করলে, দেশের হাজারো ক্ষুদ্র ও মাঝারি আইএসপি উদ্যোক্তা অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় স্টারলিংকের সহজতর সেবা স্থানীয় আইএসপিদের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন করে তুলবে।

সরকারের ৪০০ টাকায় ব্রডব্যান্ড সংযোগের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে আইএসপিএবি বলছে, ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ না করলে সেবা প্রদান টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

আইএসপিএবির সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

  • আইএসপি ইন্টারনেট দামে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ,
  • সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্য ৮০০ টাকা (৫০ এমবিপিএস),
  • অ্যাক্টিভ শেয়ার চালু করা,
  • লাস্ট মাইল কানেক্টিভিটি আইএসপির হাতে থাকা,
  • এনটিটিএন সার্ভিস চার্জ এক অঙ্কে নামিয়ে আনা (লং হল),
  • এসওএফ ও রেভিনিউ শেয়ার তুলে দেওয়া, এবং
  • দেশীয় উদ্যোক্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।

সংগঠনটি সমতা ভিত্তিক নীতিমালা এবং সরকারি নীতিগত সহায়তা চায়, যাতে স্থানীয় উদ্যোক্তারা টিকে থাকতে পারেন।

আরো পড়ুন