পশ্চিম সুদানের দুর্গম মাররা পর্বতমালায় ভয়াবহ ভূমিধসে অন্তত ৩৭০ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি সুদানে জাতিসংঘের উপ-মানবিক সমন্বয়ক আন্তোয়ান জেরার্দ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নির্ধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে, কারণ দুর্গম এলাকায় পৌঁছানো অত্যন্ত কঠিন।
সুদান লিবারেশন মুভমেন্ট/আর্মি (এসএলএম/এ) জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টির ফলে রবিবার টারসিন গ্রামে ভূমিধস নামে। এতে পুরো গ্রাম সমতল হয়ে যায় এবং মাত্র একজন বেঁচে আছেন। তাদের দাবি, মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়াতে পারে।
এসএলএম/এ জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে জরুরি সহায়তা চেয়েছে। তবে জেরার্দ জানিয়েছেন, সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো কঠিন হবে। হেলিকপ্টার নেই, কেবল দুর্গম রাস্তায় গাড়ি দিয়েই যাতায়াত সম্ভব। বর্ষা মৌসুমে অনেক সময় উপত্যকা পার হতে এক-দুই দিনও লেগে যায়।
ডারফুরের সেনাপন্থী গভর্নর মিনি মিনাওয়ি এ ঘটনাকে “মানবিক বিপর্যয়” আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন। আফ্রিকান ইউনিয়নের প্রধান মাহমুদ আলি ইউসুফ সংঘাতরত পক্ষগুলোকে অস্ত্র বিরতি দিয়ে দ্রুত ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২০২৩ সালের এপ্রিলে সেনা ও আধাসামরিক আরএসএফের মধ্যে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে সুদানে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। দারফুর অঞ্চলে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত এবং প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।