সীমান্ত নিরাপত্তা ও নজরদারি বাড়াতে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০টি হালকা বহুমুখী আধুনিক হেলিকপ্টার (এলইউএইচ) কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১২০টি পাবে সেনাবাহিনীর আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর এবং ৮০টি পাবে দেশটির বিমানবাহিনী। এই হেলিকপ্টারগুলো দিনরাতের ঝটিকা অভিযান, সীমান্ত নজরদারি, সৈন্য ও সরঞ্জাম পরিবহন, সমরাস্ত্র ও আহতদের দ্রুত বহন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার এবং দুর্যোগে বেসামরিক সহায়তায় ব্যবহৃত হবে। মূলত পাঁচ দশক ধরে থাকা পুরোনো চেতক ও চিতা হেলিকপ্টারগুলোকে সময়োপযোগী বদলে ফেলার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে বিমানবাহিনী ইউটিলিটি হেলিকপ্টার, লো-লেভেল রাডার, লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট, মাল্টিরোল হেলিকপ্টার এবং মাঝ-আকাশে জ্বালানি ভরার বিমানের মতো একাধিক প্ল্যাটফর্ম সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। এর আগে, মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা কমিটি ৪৫ হাজার কোটি রুপির বেশি মূল্যে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড থেকে ১৫৬টি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার কেনার অনুমোদন দেয়। এগুলোও সেনা ও বিমানবাহিনীর মধ্যে ভাগ করে চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হবে।
প্রতিরক্ষা সূত্র সংবাদমাধ্যম এএনআইকে জানিয়েছে, এটি দেশের মধ্যে কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিমান শিল্পের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের দিকেও একটি বড় ভূমিকা রাখবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চেতক এবং চিতা হেলিকপ্টার একাধিক দুর্ঘটনায় পড়ে, যাতে বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মীর প্রাণহানি ঘটে। একারণে হালকা হেলিকপ্টার বহরের আধুনিকীকরণের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে ভারত। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ধাপে ধাপে এই হেলিকপ্টারগুলো অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে এবং পুরো পরিবর্তন সম্পূর্ণ হতে কয়েক বছর সময় লাগবে।