সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে পানির প্রবল বৃদ্ধি এবং টানা বর্ষণে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। ইতোমধ্যে চরাঞ্চলের বহু ফসলি জমি, গাছপালা ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৪৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এতে যমুনার অভ্যন্তরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে শাহজাদপুর, কাজিপুর ও চৌহালী উপজেলার সোনাতনি চর, বারপাকিয়া, চরঠুটিয়া, নাটোয়ারপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কুড়াগাছা, চালাহারা, তেঘরি এবং সদর উপজেলার গোটিয়ার চর, মেছড়া চরে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এতে আখ, পাট, বাদামসহ নানা প্রকার ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
চৌহালীর স্থানীয় ইউপি সদস্য রহিজ উদ্দিন বলেন, “প্রতিবছর ভাঙন হয়, কিন্তু এবার তা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বসতবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু জমি হারিয়েছে মানুষ।” তিনি অভিযোগ করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন জানান, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং অনেক এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিকে স্থানীয়দের মধ্যে বন্যা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে। অনেক পরিবার ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। ক্ষুদ্র কৃষকরা চরম দুরবস্থার মুখে পড়েছেন।