নাইজারের সাহারা মরুভূমিতে প্রায় ২,০০০ শরণার্থী প্রায় ৩০০ দিন ধরে আটকে রয়েছেন। তাদের অবস্থান রাজধানী আগাদেজ শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরের একটি অস্থায়ী শিবিরে। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপদাহ, ধুলিঝড় ও খাদ্যাভাবের মধ্যেও তারা একটিই বার্তা দিচ্ছেন—“আমরা এখানে থাকতে চাই না।”
এই শরণার্থীদের বেশিরভাগই সুদান থেকে পালিয়ে এসেছেন, যুদ্ধ, সহিংসতা ও নিপীড়নের ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে। অনেকেই ইউরোপে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো অভিবাসীদের আটকে দেওয়ার পদক্ষেপের ফলে নাইজারে আটকে পড়েন।
তারা অভিযোগ করছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর, নাইজের সরকার ও ইইউ তাদের দেখভাল করতে ব্যর্থ হয়েছে। শরণার্থীদের অভিযোগ, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, নিরাপদ আশ্রয় ও খাদ্যের মতো মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা হচ্ছে না। জুলাই মাস থেকে খাদ্য সহায়তাও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলে জানান তারা।
সুদানি শরণার্থী ইউসুফ ইসমাইল বলেন, “একজন বিধবা নারীকে শুধু নিজের অধিকারের কথা বলায় মারধর করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র না থাকায় চারজন শরণার্থী মারা গেছেন।”
স্থানীয় এনজিও ‘আলারে ফোন সাহারা’ জানায়, প্রতিবাদকারীরা এখন একঘরে অবস্থায় আছেন। সংস্থাটি মনে করে, ইউরোপীয় দেশগুলো মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে সেই নীতির প্রতিফলন ঘটছে না।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনা ইউরোপের ‘নিরাপত্তাকেন্দ্রিক’ অভিবাসন নীতির একটি বাস্তব প্রতিচ্ছবি, যেখানে মানবতার চেয়ে অগ্রাধিকার পাচ্ছে রাজনৈতিক স্বার্থ।