রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক হঠাৎ করেই সারাদেশে তাদের এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার (২১ জুন) থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে বলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
২০১৩ সালে ‘দুয়ার’ নামের একটি তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে অগ্রণী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করে। দীর্ঘদিন জনপ্রিয়তা পেলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই সেবার কার্যকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা হ্রাস পাওয়ায় চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের দেশে ৯৬২টি শাখা রয়েছে এবং দুয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত ৫৬৭টি এজেন্ট পয়েন্ট চালু ছিল। তবে গত বৃহস্পতিবার দুয়ারের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়। নতুন করে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাবে ব্যাংক কিছু শর্ত সংযুক্ত করে, যা মানতে অস্বীকৃতি জানায় দুয়ার। ফলে চুক্তি আর নবায়ন করা হয়নি।
এ বিষয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ারুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ বলেন, “আমরা কিছু শর্ত দিয়েছিলাম, কিন্তু দুয়ার তা মানতে রাজি হয়নি, তাই চুক্তি হয়নি।”
অগ্রণী ব্যাংকের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সম্প্রতি একটি অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের তথ্য উঠে আসে। তাই নতুন চুক্তির আগে শর্ত দেওয়া হয়েছিল যাতে এসব অনিয়ম রোধ করা যায়। তবে দুয়ার তা গ্রহণ না করায় ব্যাংক চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।
একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “দুয়ারের কিছু কার্যক্রম ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছিল, যা স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছিল। এমনকি কিছু শাখা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছিল।”
তবে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানানো হয়েছে, দুয়ারের মাধ্যমে যেসব গ্রাহক ব্যাংকিং সেবা পেতেন, তারা এখন কাছাকাছি কোনো অগ্রণী ব্যাংকের শাখা থেকে আগের মতোই সকল সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।