চলতি বছরের বলিউডে আলোচিত ও ব্যবসাসফল সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম সাইয়ারা। মোহিত সুরি পরিচালিত এ ছবিটি ইতিমধ্যেই আয় করেছে প্রায় ৫৬৩ কোটি রুপি। ছাবা–র পর ২০২৫ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড গড়া এই সিনেমার সুবাদেই রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়েছেন নবাগত অভিনেত্রী অনীত পড্ডার।
ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন আলঝেইমার আক্রান্ত এক তরুণীর চরিত্রে। চরিত্রটির আবেগ ও গভীরতা দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। তবে বাস্তব জীবনের সঙ্গেও এর মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। সম্প্রতি দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনীত জানান, তার দাদাও আলঝেইমারে ভুগছেন। তিনি বলেন, “দাদা এখন এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছেন, যেখানে আমার নামও মনে রাখতে পারেন না। তাই এই চরিত্র আমার কাছে শুধু অভিনয় নয়, এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা।”
অনীত আরও জানান, প্রথমে ভেবেছিলেন তার দাদা হয়তো সিনেমায় তাকে চিনবেন না। কিন্তু গান ও ট্রেলার দেখানোর পর দাদা তাকে চিনতে পেরে ফেলেন। অনীতের ভাষায়, সেটিই ছিল জীবনের সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত। শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও তা পরিবারের কাছে প্রকাশ করেননি তিনি। ছোটবেলায় হোমওয়ার্ক করার অজুহাতে দরজা বন্ধ করে অডিশনের ভিডিও তৈরি করতেন। “সব সময় জানতাম, অভিনয়ের জন্য আমাকে প্রস্তুত থাকতে হবে” বলেছেন এই নবাগত তারকা।
সাইয়ারা–র কাহিনি ঘুরে বেড়ায় বাণী বাত্রা ও কৃষ কাপুরকে কেন্দ্র করে। বিচ্ছেদের পর পত্রিকায় কাজ শুরু করা বাণীর সঙ্গে পরিচয় হয় উঠতি গায়ক কৃষের। ধীরে ধীরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, কিন্তু আলঝেইমার তাদের জীবনে তৈরি করে নির্মম দেয়াল।
চলচ্চিত্রে সাফল্যের পর অনীত পড্ডারের ক্যারিয়ার পেয়েছে নতুন গতি। ইতোমধ্যেই তিনি যশরাজ ফিল্মসের একটি রোমান্টিক ছবিতে সই করেছেন, যার পরিচালনায় রয়েছেন মনীশ শর্মা।