সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থকে গ্রেপ্তার করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা একই বিভাগের এক ছাত্রীকে নেশাজাত দ্রব্য খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করেছে।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত শান্ত ওই ছাত্রীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ছিলেন। গত ২ মে ঈদের আগের সন্ধ্যায় কনসার্টে যাওয়ার কথা বলে শান্ত প্রথমে তাকে নগরের আখালিয়ার একটি বাসায় নিয়ে যান এবং কোল্ড ড্রিংকের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ান। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে সুবিদবাজারে পার্থর সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে যান।
পরে ছাত্রীটি হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানালেও তারা তাকে আবারও শান্তর আখালিয়ার মেসে নিয়ে যায়। সেখানে অচেতন অবস্থায় পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় এবং ঘটনার ভিডিও ও ছবি মোবাইলে ধারণ করা হয়।
পরদিন ভুক্তভোগী তার মোবাইলে ওই ভিডিও ও ছবি দেখতে পান। অভিযুক্তরা তা ফাঁস করার হুমকি দিয়ে আবারও মেসে যেতে চাপ দিতে থাকে। কিছুদিন চুপ থাকলেও ভুক্তভোগী পরে বান্ধবীদের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করলে তারা সাহস দেন এবং প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়।
গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ অভিযুক্ত দুজনকে আখালিয়ার মেস থেকে গ্রেপ্তার করে এবং কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
ঘটনার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করে শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্তদের ছাত্রত্ব বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের আটক করে প্রশাসনের কাছে তুলে দেওয়া হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে এবং তাদের মোবাইল থেকে ভিডিও ও ছবি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
